কাস্টমস কমিশনারের পৌনে ১০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

অপরাধ

দুর্নীতির মাধ্যমে ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে তার সম্পদের যে ফিরিস্তি বেরিয়ে এসেছে তা অবিশ্বাস্য। বাড়ি, গাড়ি, জমি, প্লট, ফ্ল্যাট, বাণিজ্যিক স্পেস, ব্যবসায় বিনিয়োগ, শেয়ার, ব্যাংকে জমানো টাকাসহ সম্পদের ৭৩টি তালিকা পাওয়া গেছে।

চাকরির বৈধ আয়ের সঙ্গে ওইসব সম্পদ অসংগতিপূর্ণ। অনুসন্ধানকালে ভোগ-দখলে থাকা সম্পদের বৈধ উৎস্ জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম সোমবার তার বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা-১ কার্যালয়ে মামলা করেছেন। এনামুল হক বর্তমানে কাস্টমস, ভ্যালুয়েশন অ্যান্ড ইন্টারনাল অডিট কমিশনারেট অফিসে কমিশনারের দায়িত্বে আছেন। ঢাকার মগবাজারে তার অফিস।

এজাহারে বলা হয়, ১৯৯৩ সালের ৮ জানুয়ারি থেকে গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত তিনি ১৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। এর মধ্যে ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয় বহির্ভুত। এসব সম্পদ অর্জন ও ভোগ-দখলে রেখে তিনি দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এজাহারে ওই কাস্টমস কমিশনারের নামে থাকা সম্পদের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। প্রচুর জমির মালিক হয়েছেন তিনি। ঢাকা শহর, ঢাকার উপকন্ঠ ও ঢাকার বাইরে প্রচুর জমি কিনেছেন।

ঢাকার পার্শ্ববর্তী জোয়ারসাহারা মৌজায় ৩ কাঠা জমিতে ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা খরচ করে ৯ তলা বাড়ির মালিক হয়েছেন। বাড়িটির প্রতি তলার আয়তন ৩ হাজার ২০০ বর্গফুট। এছাড়া শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ, মৎস্য প্রকল্পে বিনিয়োগ, জীবন বীমার প্রিমিয়াম এবং ব্যাংকে নগদ টাকার যাবতীয় হিসাব উল্লেখ রয়েছে মামলার কপিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *