রবিবার (২৮ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অন্যদিকে বিদেশি ব্যাংকগুলোর তিন হাজার ৪২ কোটি টাকা বা ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ ঋণ খেলাপি। আর সরকারি মালিকানাধীন বিশেষায়িত তিনটি ব্যাংকের মোট ঋণের ১২ দশমিক ৮০ শতাংশ বা ৪ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা বর্তমানে খেলাপি।
২০২০ ও ২০২১ সালে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ঋণ আদায়ে নানা ছাড় দেয়া হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বিদায়ী বছরেও নানাভাবে ছাড় দেয়া হয়। বছরের শেষ দিকে এসে এক ব্যাংকের আদায় অযোগ্য খেলাপি ঋণ অন্য ব্যাংক কিনে নিয়ে ঋণ নিয়মিত করার সুযোগ দেয়া হয়। আবার ঋণ অবলোপনেও ছাড় দেয়া হয়। আগে যেখানে আদায় অযোগ্য খেলাপি ঋণ আদায়ে মামলা করতে বাধ্য করা হতো। কিন্তু এখন মামলা ছাড়াই আদায় অযোগ্য একটি নির্ধারিত অঙ্কের খেলাপি ঋণ অবলোপনের সুযোগ দেয়া হয়। এর ফলে এসব ঋণ মামলা না করেই অবলোপন করা হয়। আর অবলোপনকৃত খেলাপি ঋণ খেলাপি ঋণের হিসাবে দেখানো হয় না। আলাদা হিসাবে রাখা হয়। সবমিলেই খেলাপি ঋণ যে হারে বাড়ার কথা সেই হারে বাড়ছে না। অর্থাৎ প্রকৃত খেলাপি ঋণ প্রদর্শিত হচ্ছে না।