বাংলাদেশে নির্বাচনে অনিয়ম করলে ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিল যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে একথা জানানো হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মেথিউ মিলার ব্রিফিং করেন। বাংলাদেশের ওপর নতুন করে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়নি।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি জে ব্লিংকেন এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা এগিয়ে নিতে আজ আমি নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করছি। এ নীতির আওতায় বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থাকে যারা অবমূল্যায়ন করবে অথবা এর সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে বা যারা দায়ি হবে, তাদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর আমরা ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারি।’
Today, I announced a new visa policy to promote free and fair elections. Under this policy, we can impose visa restrictions on individuals and their immediate family members if they are responsible for, or complicit in, undermining the democratic election process in Bangladesh.
— Secretary Antony Blinken (@SecBlinken) May 24, 2023
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েব সাইটে ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন উৎসাহিত করতে ভিসা নীতির ঘোষণা’ শিরনামে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি জে ব্লিংকেনের বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যকে সহায়তা করতে, আজ আমি ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের ধারা ২১২(এ)(৩)(সি)(৩সি) এর অধীনে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই নীতির অধীনে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ি বা জড়িত যে কোনো বাংলাদেশির জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপে সক্ষম হবে। এর মধ্যে বর্তমান ও প্রাক্তন বাংলাদেশি কর্মকর্তা ও কর্মচারি, সরকারপন্থি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত হবেন। যুক্তরাষ্ট্র গত ৩ মে বাংলাদেশকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।