প্রেমের টানে সরিষাবাড়ীতে মেক্সিকান তরুণী

জীবনযাপন প্রবাস বিনোদন

ফেসবুকে মেক্সিকান তরুণী গ্লাডিস নাইলি টরিবিও মরালেসের (৩২) সঙ্গে ২০১৯ সালে পরিচয় হয় বাংলাদেশি তরুণ রবিউল হাসান রুমানের (২৯)। অতঃপর প্রেম ও বিয়ে। সেই থেকে মেক্সিকান তরুণী এখন বাংলাদেশি বধূ।

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের পোগলদিঘা গ্রামের নজরুল ইসলামে ছেলে রবিউল হাসান রুমান। তিনি ময়মনসিংহের রুমডো ইন্সটিটিউট অব মডার্ন টেকনোলজি থেকে মেকানিক্যালে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করে ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ করছেন। নববধূ গ্লাডিস নাইলি টরিবিও মরালেস ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে রবিউল হাসান রুমানকে বিয়ে করেছেন। তার বর্তমান নাম মোছা. লাইলী আক্তার।

রবিউল হাসান রুমান জানান, তিনি ভালোভাবে ইংরেজিতে কথোপকথনের জন্য একজন বন্ধু খুঁজছিলেন। এভাবে ২০১৯ সালে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোর তরুণী গ্লাডিস নাইলি টরিবিও মরালেসের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও প্রেম। দুই বছর প্রেম করার পর গত রোববার সকালে বাংলাদেশে আসেন মরালেস। রবিউল ও পরিবারের সদস্যরা হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রহণ করেন। বিমান থেকে নামার পর কিছু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ঢাকা জজকোর্টে গিয়ে এভিডেভিটের মাধ্যমে নিজের খ্রিস্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ এবং রবিউলকে বিয়ে করেন ওই মেক্সিকান তরুণী। এরপর সরিষাবাড়ীতে এসে পৌঁছান মধ্যরাতে।

ওই মেক্সিকান তরুণী জানান, মেক্সিকোর পো-এবলা শহরের ব্যবসায়ী গ্রেগ্রোরিও টরিবিওর মেয়ে তিনি। পো-এবলা বিশ্ববিদ্যালয় (বিইউএপি, পো-এবলা, মেক্সিকো) থেকে ২০১৬ গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। রবিউলের সঙ্গে প্রেম হওয়ার পরপরই তিনি বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু করোনার কারণে বিলম্ব হয়।

তার ভাষায়, বাংলাদেশে আসতে কোনো ভয় বা সমস্যা হয়নি, শুধু করোনার কিছুটা উৎকণ্ঠা থাকলেও ভালোবাসার মানুষের কাছে আসার আনন্দে তা প্রভাব ফেলেনি। বাংলাদেশ ও এদেশের মানুষ অনেক ভালো এবং এলাকার লোকজন অনেক মিশুক।

রুমানের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মরালেস কিছুদিন এখানে অবস্থান করে মেক্সিকোতে ফিরে যাবেন। পরে দুইদেশের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে রবিউলকে মেক্সিকোতে নিয়ে যাবেন।

পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামস উদ্দিন সামস জানান, ভালোবাসা সবকিছুর উর্ধ্বে, মেক্সিকান তরুণী এটা প্রমাণ করেছে। প্রেমের টানে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন, এতে প্রেমিকযুগলের প্রেম সার্থক হয়েছে। ইতোমধ্যেই মেয়েটি এলাকায় হেসে-খেলে সময় কাটাচ্ছেন। এলাকার মানুষও তাকে খুব সুন্দরভাবে গ্রহণ করেছে। মেক্সিকান তরুণীকে পুত্রবধূ হিসেবে পাওয়ায় রুমানের পরিবারও খুশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *