মাকে দরজার বাইরে রেখে মেয়েকে ধর্ষণ করেছিলেন ম্যারাডোনা!

আন্তর্জাতিক খেলাধুলা

ডিয়েগো ম্যারাডোনার জীবন বেশ বৈচিত্র্যে ভরা। আর্জেন্টাইন এই সাবেক কিংবদন্তির বিপক্ষে এর আগেও ধর্ষণ নিয়ে কম অভিযোগ আসেনি। নানারকম অপরাধে জড়িত থাকা ম্যারাডোনা বহুবার সমালোচনায় এসেছেন। কিন্তু এবারের সমালোচনা যেন ভিন্ন। মারা যাওয়ার পরেও তার বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ এনেছেন তারই এক সময়কার বান্ধবী।

কিন্তু মৃত্যুর পরও বিতর্ক তার পিছু ছাড়ছে না মোটেও। এবার এক কিউবান নারী অভিযোগ তুলেছেন, ম্যারাডোনা ধর্ষণ করেছিলেন তাকে, সে কারণের আত্মহত্যার ভাবনাও খেলেছিল তার মগজে।

শুধু ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন বলাটা ভুল হবে; অপহরণ, নারী পাচার, ধর্ষণ, ইচ্ছার বিরুদ্ধে কৃত্রিম স্তন প্রতিস্থাপন, শারীরিক নির্যাতন, জোর করে নেশা করানো—আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ইনফোবেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাভিস যেন অভিযোগের ডালি নিয়ে বসেছিলেন!

৩৭ বছর বয়সী মেইভিস অ্যালভারেজ রেগো জানান, আজ থেকে বিশ বছর আগে ঘটেছিল এ ঘটনা। ১৬ বছর বয়সে তার দেখা হয়েছিল ম্যারাডোনার সঙ্গে। মাদক নিরাময়ের জন্য ম্যারাডোনা তখন থাকছেন কিউবাতে। দু’জনের পরিচয়ের স্মৃতি মনে করে তিনি বলেন, ‘আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ সে আমাকে পুরোপুরি জয় করে নিয়েছিল। কিন্তু তার কয়েক মাসের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলাতে থাকে।’

তখন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি তাকে কোকেইন সেবন করানোর চেষ্টাও করেছিলেন, জানান মেইভিস। যে কারণে তার প্রতি ঘৃণাও সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিল ১৬ বছর বয়সী কিউবান তরুণীর। তিনি বলেন, ‘আমি তাকে ভালোবাসতাম, কিন্তু আমি তাকে ঘৃণাও করতাম। এমনকি তার জন্যে আমার মাথায় আত্মহত্যার চিন্তাও খেলে যেত তখন।’

বর্তমানে ১৫ ও ৪ বছর বয়সী দুই সন্তানের মা মেইভিস জানান, তাদের সম্পর্ক টিকেছিল ৫ বছর। তবে এ সময়ের পুরোটাই তাকে নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। শেষদিকে ম্যারাডোনার সঙ্গে তিনি বুয়েনোস এইরেসেও গিয়েছিলেন। তবে গিয়েই ফেঁসে গিয়েছিলেন, তাকে বহুদিন তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটকে রাখা হয়েছিল হোটেলের ঘরে, এমনকি তার স্তনবৃদ্ধিকরণের অস্ত্রোপচারও করা হয়।

তিনি দাবি করেন, ম্যারাডোনা তাকে একবার তার হাভানার ঘরে ধর্ষণ করেছিলেন। এর বাইরে অনেকবার শারীরিক নির্যাতনের শিকারও হতে হয়েছে তাকে।

এ অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। সে মামলা অবশ্য মেইভিস নিজে করেননি। করেছেন এক আর্জেন্টাইন এনজিও, ‘ফাউন্ডেশন ফর পিসের’ মাধ্যমে। ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি মানবপাচার, স্বাধীনতা খর্বকরণ, জোরপূর্বক দাসত্বে বাধ্য করা, ও শারীরিক নির্যাতনের।

ইত্তেফাক/এনঅ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *