জনতা ব্যাংকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ

অপরাধ

ঋণ দেয়া নিয়ে জনতা ব্যাংকের বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়মের অভিযোগ আগামী ছয় মাসের মধ্যে অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) এক যুগ আগে করা একটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী সঞ্জয় মণ্ডল। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২২ নভেম্বর ‘দুর্নীতির আখড়া জনতা ব্যাংক/ ঘুষ ছাড়া ঋণ মেলে না’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এতে বলা হয়, ঘুষের বিনিময়ে অখ্যাত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে কোটি কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে জনতা ব্যাংক। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে ঠেকেছে যে, ঘুষ ছাড়া দেশের স্বনামখ্যাত ব্যবসায়ীরাও এ ব্যাংক থেকে প্রয়োজনীয় ঋণ পাচ্ছেন না।

প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে একই বছরের নভেম্বরে রিটটি করা হয়। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০১২ সালের ২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার এ রায় দেয়।

পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ঋণ দেয়া নিয়ে জনতা ব্যাংকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক প্রয়োজনে ব্যাংকসংশ্লিষ্ট যেকোনো ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে এবং নথি তলব করতে পারবে বলে রায়ে বলা হয়েছে। অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদন হলফনামা আকারে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে আদালতে দাখিল করতে দুদক চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *