ভাগনার বিদ্রোহের পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এসেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু।
সোমবার (২৬ জুন) পুতিনের একটি ভিডিও বক্তৃতা অনলাইনে প্রকাশ করে ক্রেমলিন। এমতাবস্তায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে উঠে এসেছে যে, এর মধ্য দিয়ে পুতিন ও তার সরকার যে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন, সেই বার্তাই দেয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।
এদিকে, ভাগনার বিদ্রোহের পর পুতিনের পাশাপাশি রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে প্রচারমাধ্যমে কথা বলতে দেখা গেছে। এসময় ইউক্রেনে যুদ্ধরত রুশ সৈন্যদের পরিদর্শন করেন তিনি। তবে এসব ভিডিও কখন, কোথায় ধারণ করা হয়েছে, সেই বিষয়ে কোনো কিছু বলা হয়নি।
প্রিগোশিনের বিরুদ্ধে তদন্ত: ভাগনার বিদ্রোহ শেষ হলেও গ্রুপটির প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন যে আদৌ কোথায় আছেন সেই বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য সামনে না আসেনি। যদিও অসমর্থিত সূত্র বলছে যে, লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় বিদ্রোহের অবসানের পর বেলারুশে অবস্থান করছেন তিনি।
পুতিনের নেতৃত্বে ‘ফাটল’: এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মন্তব্য করেছেন যে, ভাগনার বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে রাশিয়ায় পুতিনের নেতৃত্বে ‘ফাটল’ ধরেছে।
ন্যাটো জোটের মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেন, ইউক্রেনে ‘অভিযান’ চালিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভুল করেছেন।
এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, যা ঘটেছে (ভাগনার বিদ্রোহ), তা রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়।