২০০১ সালের পয়লা অক্টোবর ছিলো ১৯৭১ এর ২৫ মার্চের প্রতিচ্ছবি : বাহাউদ্দিন নাছিম

রাজনীতি সর্বশেষ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, ২০০১ সালের পয়লা অক্টোবর হাওয়া ভবনের নীলনকশায় কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচনে জিতে বিএনপি-জামায়াত  তান্ডব শুরু করেছিলো। আজ সেই পহেলা অক্টোবর। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী  যেভাবে বাঙালির উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।  ২০০১ সালের পয়লা অক্টোবরও বিএনপি-জামায়াত দেশের সাধারন মানুষের উপড় একইভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
তিনি বলেন, ‘২০০১ সালের পয়লা অক্টোবর বিএনপি জামাত একই কায়দায় নিরীহ বাঙালির উপর হামলা করেছিলো। এদিন তারা অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ, নারী নির্যাতন, হত্যার মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। সেদিন যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো, নির্যাতিত হয়েছিলো, জীবন দিয়েছিল তাদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আজ এসব কথা বলেন।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ২০০১ সালের পয়লা অক্টোবর বিএনপি জামাত ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে অসংখ্য মনুষকে হত্যা করেছিলো, সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে দেশত্যাগে বাধ্য করেছিলো। তারা হত্যা, লুন্ঠন, ধর্ষণে মেতে উঠেছিলো। পরবর্তীতে তা নিয়ে তদন্ত কমিশন গঠিত হয়েছিল। সেই কমিশনের রিপোর্ট অনুসারে সকল অপকর্মকারীদের কঠোর বিচারের দাবি জানাই।
তিনি বলেন, ২০০১ সালের এই পহেলা অক্টোবরের পরই কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী নিজামী, সাঈদী, আলী আহসান মুজাহিদদের  নিয়ে তারা সরকার গঠন করেছিলো।  এই স্বাধীনতা বিরোধীদের তারা পতাকা দিয়েছিলো, মন্ত্রী করেছিলো। যুদ্ধাপরাধী  মতিউর রহমান নিজামীকে করেছিলো কৃষিমন্ত্রী। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়ে গঠন করেছিলো বিএনপি আর এই স্বাধীনতা বিরোধীদের পতাকা তুলে দিয়েছিলো বেগম জিয়া। তারা দেশকে ধ্বংসের চরম জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল। আমরা সেই বাংলাদেশে আর ফিরে যেতে চাই না।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। এসডিজি অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রীকে কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে মুকুট মণি উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ হবে উন্নত সম্বৃদ্ধ শান্তির স্বপ্নের বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ঐক্যই শক্তি। ঐক্য পারে সম্বৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে। সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কৃষিবিদদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ, জাতি, কৃষক ও কৃষিবিদদের উন্নয়নে একাসথে কাজ করতে হবে।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর মো. শাদাত উল্লার মৃত্যুতে আয়োজিত স্বরণ সভায় বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, শাদাত উল্লা স্যার রাজনীতিবিদ ছিলেন না তবে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন। উনি নেতা ছিলেন না তবে শিক্ষক হিসেবে নেতার চেয়েও অনেক গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন।  তিনি ছিলেন ছাত্রদের জন্য আস্থার জায়গা। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়ার  সভাপতিত্বে স্মরণ সভায়  আরও উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, কৃষকলীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *